সর্বশেষ সংবাদ

আপনার প্রিয় উখিয়া নিউজ শীঘ্রই নতুন নামে আত্নপ্রকাশ করতে যাচ্ছে...UNC............ www.ukhianews.com

চিঠি গণমাধ্যমে আগে যাওয়া রহস্যজনক'

(বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- তোফায়েল আহমদ প্রসঙ্গে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের চিঠি প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাওয়ার আগেই গণমাধ্যমে পৌঁছে যাওয়ার বিষয়টিকে 'রহস্যজনক' মনে করেন শেখ হাসিনা। সোমবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, "আমি চিঠি ও ফাইল পাওয়ার আগে পত্রিকা কিভাবে পেলো
এবং ছাপিয়ে দিলো? পত্রিকায় আগে যাওয়ার রহস্য কী জানা দরকার।"

রাশেদ খান মেনন পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে বলেন, "আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা তোফায়েল আহমদের বিশোদগার করে সচিব [যোগাযোগ] প্রধানমন্ত্রীর কাছে যে চিঠি দিয়েছেন তাতে জাতীয় সংসদ ও সংসদ সদস্যদের প্রতি অশ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। সংসদের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে।"

ওই চিঠিটি তার কাছে পৌঁছানোর আগেই গণমাধ্যমে প্রকাশের বিষয়টিকে রহস্যজনক বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, "যোগাযোগ সচিব আমাকে কোনো চিঠি দেয়নি। সচিব কোনো চিঠি দিতে পারে না। এটা মন্ত্রণালয়ের চিঠি।"

গত বৃহস্পতিবার মহাজোট সরকারের গত দু'বছরে সড়ক সংস্কারের ধীরগতি নিয়ে সংসদে প্রশ্ন তোলেন সরকারদলীয় সাংসদ তোফায়েল আহমদ।

সেসময় তিনি যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে উন্নয়ন কাজে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের কোনো অগ্রগতি নেই উল্লেখ করে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, "সরকারের বাকি তিন বছরে রাস্তা-ঘাট উন্নয়ন করতে না পারলে জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।"

ওই সমালোচনার জন্য তোফায়েল আহমদের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বরাবর পাঠানো যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের একটি চিঠিভিত্তিক সংবাদ প্রকাশ হয় সোমবার।

প্রধানমন্ত্রী জানান, সোমবারই তিনি ফাইলটিতে স্বাক্ষর করেন।

সব সাংসদের অবমাননার শামিল
রাশেদ খান মেনন বলেন, "এতে [ওই চিঠির মাধ্যমে] সংবিধানের ৭৮ অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন হয়েছে এবং [তিনি] পত্রিকায় প্রকাশের ব্যবস্থা করেছেন। দুর্বীনিত ভাষা ব্যবহার করেছেন। তিনি বলেছেন, তোফায়েল আহমেদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকাণ্ডে ঈর্ষা পরায়ণ হয়ে সংসদে নেতিবাচক বক্তব্য দিয়েছেন।"

তোফায়েল সম্পর্কে একজন সচিবের এমন মন্তব্য স্পিকার, জাতীয় সংসদ এবং সব সংসদ সদস্যদের অবমাননার সামিল- এ কথা উল্লেখ করে এ ধরনের বক্তব্য সংবিধানের ৭৮ বিধি লঙ্ঘন কি না সে বিষয়ে স্পিকারের সুষ্পষ্ট রুলিং দাবি করেন মেনন।

ডেপুটি স্পিকার এ বিষয়ে কোনো রুলিং না দিয়ে বলেন, "রাশেদ খান মেনন কার্যপ্রনালী বিধির ৩০১ ধারা অনুযায়ী বিশেষ অধিকার ক্ষুণ্ণের নোটিশ না দিয়ে সংবিধানের ৭৮ ধারায় কথা বলেছেন। তাই বিষয়টি উত্থাপনের পর আর আলোচনার সুযোগ থাকে না।"

তিনি এ ব্যাপারে রাশেদ খান মেননকে বিশেষ অধিকার ক্ষুণেœর নোটিশ দিতে পরামর্শ দেন।

মেনন বলেন, "একটি পত্রিকায় মন্ত্রীকে নিয়ে লেখা ও কার্টুন ছাপানো সংবাদপত্রের অংশ। মন্ত্রীর কার্টুন প্রকাশকে যোগাযোগ সচিব 'অনৈতিক' আখ্যা দিয়েছেন। এটা সংবাদপত্রের স্বাধীনতার পরিপন্থি।"

এরপর প্রধানমন্ত্রী বলেন, "আজকে যেটার জন্য আপনি প্রশ্ন তুলছেন। মন্ত্রীর সমালোচনা করবেন এটা সাংবিধানিক অধিকার, এটাই স্বাভাবিক।

"কিন্তু পত্রিকাগুলো যখন মিথ্যে বানোয়াট ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশন করে তখন এর প্রতিকার কী হবে। আপনিও যে অবস্থায় পড়বেন না- এটাই বা কে বলতে পারে? কাল যখন আপনি পড়বেন তখন কী হবে এটা ভেবে দেখা উচিত

কোন মন্তব্য নেই: