সর্বশেষ সংবাদ

আপনার প্রিয় উখিয়া নিউজ শীঘ্রই নতুন নামে আত্নপ্রকাশ করতে যাচ্ছে...UNC............ www.ukhianews.com

শিক্ষিকার পিটুনিতে ৩৫ ছাত্রী আহত

সাভার,৭ ফেব্রুয়ারি (শীর্ষ নিউজ ডটকম): খেলাধুলা করার অপরাধে সোমবার ঢাকার ধামরাইয়ের বড় জেঠাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকার বর্বরোচিত বেত্রাঘাতে ৩৫ ছাত্রী আহত হয়েছে। তবে এদের মধ্যে ৪ জনকে গুরুতর অবস্থায় ধামরাই ও সাভারের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী পাষন্ড শিক্ষিকা আমেনা বেগমসহ ৩ জন শিক্ষককে স্কুলের একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখে। ৬ ঘণ্টা পর সোমবার সন্ধ্যার দিকে পুলিশ তাদের তালাবদ্ধ অবস্থা থেকে উদ্ধার করেন।
জানা গেছে, ধামরাইয়ের বড় জেঠাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয়, চতুর্থ ও ৫ম শ্রেণীর প্রায় ৫০-৫৫ জন ছাত্রী সোমবার দুপুর ১২টার দিকে মাঠে খেলাধুলা করছিল। এসময় ওই স্কুলের শিক্ষিকা আমেনা বেগম তাদের ক্লাসে যাওয়ার জন্য বলে। খেলাধুলা শেষে ছাত্রীদের ক্লাসে যেতে দুই মিনিট দেরি হওয়ায় শিক্ষিকা আমেনা
বেগম তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী হোসনে, সেলিনা, রুবি, ঊর্মি, শিমু, পাপিয়া, চতুর্থ শ্রেণীর আফরোজা, শাহানা, শারমিন, রুনা, ফাতেমা, রাহেলা, হোসনে আরা, কনিকা, ৫ম শ্রেণীর রোকেয়া, শারমিন, সোনিয়া, মমতাজ, ইমা, তানিয়া, তানজিনা, শান্তা, মুক্তাসহ ৩৫ জন ছাত্রীকে বেত দিয়ে এলোপাথাড়ি পেটালে অনেকের মাথা ফেটে যায় এবং হাত ভেঙ্গে যায়। এদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী আফরোজাকে সাভারে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী রোকেয়া, তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী হোসনে আক্তারকে কালামপুর ডক্টরস হাসপাতালে ও চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী শাহানাকে কাওয়ালীপাড়া জনকল্যাণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
খবর পেয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী পাষণ্ড শিক্ষিকা আমেনা বেগমসহ ওই স্কুলের আরো দুই শিক্ষক কামরুল হাসান ও সুলতানা বেগমকে আটক করে স্কুলের একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখে। পরে ধামরাই উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জিয়াউল হক সিকদার, ধামরাইয়ের কাওয়ালীপাড়া পুলিশি তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ উপ-পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল জলিল ও উপজেলা শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষক আমেনা বেগমসহ তিন শিক্ষককে উদ্ধার করেন। এসময় উপস্থিত হাজারো জনতার সামনে আমেনা বেগম ক্ষমা চান। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে বাড়ি পেঁৗছে দেয়।
এ ব্যাপারে ধামরাই উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জিয়াউল হক সিকদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, শিক্ষিকা আমেনা বেগমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কোন মন্তব্য নেই: